Monday, October 7, 2019

সায়াটিকায় করনীয়

সায়াটিকায় করনীয়ঃ

অধিকাংশ সায়াটিকার ব্যথা কঞ্জার্ভেটিভ চিকিৎসায় ৩ মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আপনি যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে সায়াটিকায় ভোগেন এবং ব্যথার  তীব্রতা কম থাকে। তাহলে নিম্নের হোম চিকিৎসা গুলো মেনে চলতে পারেন। তবে ব্যথার তীব্রতা বাড়লে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বা ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নিতে হবে।

১। হালকা ব্যায়াম করাঃ

ব্যথা হলে ব্যায়াম করা অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা যায় যে অধিক বিশ্রাম আপনার কোমর এবং পায়ের লক্ষণগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই সায়াটিকায় আপনাকে হালকা ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে। বেদনাদায়ক বা ভিগোরাস ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না। যেমন - আপনি বারান্দায় সোজা হয়ে কিছু সময় হাটতে পারেন। পরবর্তীতে কোমর এবং পেটের মাংসপেশি শক্তিশালী করতে, কোর ব্যায়াম করতে হবে। যেটা আপনার মেরুদণ্ডকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। ব্যায়াম এণ্ডোর্ফিন নামক হরমোন নির্সরণে সাহায্য করে, যা ব্যাথার অনুভূতিকে কমিয়ে দেয়।

২। মাসকুলার স্ট্রেচিং বা  মাংসপেশির প্রসারণ করাঃ

 আপনার দৈনন্দিন রুটিনের মধ্যে মাসকুলার স্ট্রেচিং রাখা খুবই জরুরি। যার মাধ্যমে মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায় এবং মেরুদন্ড ইঞ্জুরির হাত থেকে রক্ষা পায়। আমরা খবর দেখার সময় বা সিনেমা দেখার সময়, হালকা মাসকুলার স্ট্রেচিং করে নিতে পারি। নিচে মাসকুলার স্ট্রেচিংয়ের কিছু ছবি সংযুক্ত করা হলো।

৩। ঠান্ডা এবং গরম শেক নেয়াঃ

সায়াটিকার ব্যথা কমাতে ঠান্ডা এবং গরম শেক ব্যবহার করা যেতে পারে।
বরফ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং তাপ বেদনাদায়ক এলাকাতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। তাপ এবং বরফ প্রায়ই সায়াটিকার যন্ত্রনাদায়ক পেশির স্পাজম কমাতে সাহায্য করে। প্রতি ২ ঘন্টা পর পর ১৫ মিনিটের জন্য ব্যথাযুক্ত এলাকায়  বরফের শেক এবং প্রতি ৪-৬ ঘন্টা অন্তর ১৫ মিনিটের জন্য গরম শেক নিতে হবে। ত্বকের সুরক্ষার জন্য সর্বদা আইস প্যাক বা হট ওয়াটার ব্যাগে তোয়ালা পেচিয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং ঠান্ডা বা গরম শেক নেয়ার সময় ঘুমিয়ে পড়া যাবে না।

৪। দেহ ভংগি ঠিক রাখাঃ

যদি আপনার কাজের ধরন হয়, ডেক্স বা দাঁড়িয়ে  কাজ করা এবং একই অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয়। তাহলে ২০ মিনিট অন্তর আপনার অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে এবং মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসা অবস্থায় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে এবং পিঠের মাংসপেশির উপর চাপ কমাতে আপনি চেয়ারের সাথে লাম্বার রোল বা বালিস বা বেক সাপর্ট কিছু ব্যবহার করতে পারেন।এগুলো আপনার সায়াটিকার লক্ষণ কমাতে সাহায্য করবে।

৫। ব্যথা ও প্রদাহ নাশক ওষুধ ব্যবহারঃ

ব্যথা ও প্রদাহ নাশক ওষুধ সায়াটিকার লক্ষণ কমাতে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এধরণের ওষুধ ব্যবহার করার আগে স্বাস্থ্যঝুকি গুলো জেনে রাখা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment