ওজন কমানোর কার্যকরী টিপস
ওজন কমানোর ১০ টা কার্যকরী টিপস:
শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্থ-সবল থাকতে হলে ফিট থাকা অত্যন্ত জরুরি। ওজন কমানোর টিপস নিয়ে অনেকেরই মাঝে কনফিউশন আছে। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত আছেন, তাদের জন্য নিয়ে এসেছে ১০টি কার্যকরী টিপস।টিপসগুলো লিখেছেন, ডাঃ সাইফুল ইসলাম।
১। সকালের নাস্তাঃ
সকালের নাস্তা কখনোই বাদ দিবেন না। কারণ সকালের নাস্তা মিস মানে আপনি আপনার শরীরকে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করলেন। এতে করে আপনি বেশি ক্ষুধার্ত হয়ে যাবেন। সারাদিন অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট খাবার খেতে হবে। ওজন আরও বাড়বে।২। সঠিক সময়ে খাবার খাওয়াঃ
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় খাবার খাবেন। যদি শরীর দ্রুত ক্যালরি বার্ন
করতে পারে। তবে অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় কম
খাবেন। মিষ্টি টা একেবারেই বাদ দিন ।
৩। স্বাস্থ্যকর খাবারঃ
কার্বোহাইড্রেট এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারে কমিয়ে ফেলবেন। প্রচুর পরিমাণে ফলমূল এবং শাকসবজি খাবেন। কারণ এইগুলোতে ক্যালরি, চর্বি অনেক কম থাকে এবং অনেক বেশি ফাইবার থাকে। এছাড়া ফলমূল এবং শাকসবজিতে অনেক বেশি ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে।৪। নিয়মিত ব্যায়ামঃ
কোন অযুহাতেই ব্যায়াম বাদ দিবেন না। ব্যায়াম বাদ দিবেন তো মোটা তো হবেনই এবং শরীরে নানা বিধ রোগ ব্যাধিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন। ব্যায়াম না করলে বয়স ৫০ বছরের পর ঘরে শুয়ে বসে অসুখ বিসুখ নিয়ে জীবন কাটাতে হবে।৫। প্রচুর পানি পানঃ
পানির অপর নাম জীবন। ক্ষুধা লাগলেই পানি খাবেন। এটা সত্যি অনেক কার্যকরী। এতে আপনার অতিরিক্ত ক্যালরি যতেষ্ট বার্ন হবে।৬। আঁশ জাতীয় খাবারঃ
আঁশ জাতীয় খাবার ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী। বেশি করে ফলমূল শাকসবজি খাবেন। এইগুলোতে অনেক বেশি ফাইবার থাকে। বিশেষ করে কলার মোচা, সাজনা, ঢেঁড়স, ডাঁটা, কচুশাক, মিষ্টি আলু, শাক, কলমি শাকে অনেক বেশি ফাইবার থাকে। এছাড়া ফলের মধ্যে বেল, পেয়ারা, কদবেল, আমড়া, এবং আতাফলে অনেক বেশি ফাইবার থাকে।৭। ক্যালরি হিসাবঃ
আপনার প্রয়োজনীয় ক্যালরির হিসাব করুন। যেমন ধরুন, আপনার শরীরে প্রতিদিন ২০০০ ক্যালরি প্রয়োজন। আপনি যদি প্রতিদিন এইখান থেকে ৫০০ ক্যালরি অতিরিক্ত খরচ করেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন কমবে। আপনি ২০ কদম হাটলে আপনার ১ ক্যালরি শক্তি ব্যয় হবে। অর্থাৎ ১০ হাজার স্টেপ ( কদম) হাঁটলে আপনার প্রতিদিন ৫০০ ক্যালরি খরচ হবে। আপনার রেগুলার খাওয়ার পরিমাণ না বাড়িয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটলেই আপনি ওজন কমাতে পারেন খুব সহজেই।৮। ছোট প্লেটে খাবেনঃ
মানুষের সাইকোলজি খুবই বিচিত্র। অনেক সময় আপনি বড় প্লেটে নিলে এবং সেখান পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা থাকলে ব্রেইন ভাববে আপনি কম খেয়েছেন। তাই ছোট প্লেট নিবেন, যাতে খাবার নিলে বেশি বুঝা যায়। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ।৯। ফাস্টফুড নাঃ
বাহিরের খাবার কখনই খাবেন না। কারণ ওই খাবারগুলো অতিরিক্ত স্বাদের জন্য অনেক বেশি মসলা, তেল, মিষ্টি দেওয়া থাকে। যেটা আপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে কোন খাবারই একেবারে বন্ধ করবেন না। কারণ নিষিদ্ধ খাবারের প্রতি মানুষের টান থাকে বেশি। তাই মাঝে মাঝে কম করে খেতে পারেন।১০। লেবু ও গ্রীন-টিঃ
কিছু পানীয় ওজনকমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত খাবেন এবং প্রতিদিন গ্রীন টি খেতে পারেন।অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তিত আছেন তারা উপরিক্ত ওজন কমানোর টিপস ফলো করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ওজন বাড়াতে কি করতে হবে তা জানালে উপকৃত হতাম....
ReplyDeleteকমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামিতে ওজন বাড়ানোর বিষয়ে ব্লোগ পাবেন ইনশাআল্লাহ।
ReplyDelete